ঢাবির শহীদুল্লাহ হলে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শহীদুল্লাহ হলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিব...

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শহীদুল্লাহ হলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে হলের সিট দখলকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ হয়।

 

আহতরা হলেন, খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগ ৪র্থ বর্ষের মুস্তাকিম, গণিত বিভাগের ৪র্থ বর্ষের হুসাইন আহমেদ সোহান, দুর্যোগ বিজ্ঞান ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২য় বর্ষের নাহিদ, মত্সবিজ্ঞান বিভাগের নাঈম মাহমুদ, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সাঈদ। এদের মধ্যে মুস্তাকিমের ও সোহানের মাথা ফেটে যায়, মুস্তাকিমের মাথায় ৮টি সেলাই এবং সোহানের মাথায় ৪টি সেলাই লাগে; নাহিদের নাক ফেটে যায়। আহতরা প্রত্যেকেই সভাপতি গ্রুপের কর্মী।

 

হল শাখার সভাপতি সাকিব হাসান ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের অনুসারী। সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের অনুসারী।

 

হল সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে হলের ২২১১ নং কক্ষের সিট দখলকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। হলের আতাউর রহমান খান খাদিম ভবনে ছাত্রলীগের শাখা সভাপতি সাকিব হাসান ও সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে শুরুতে সিট নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শহীদ শরাফত আলী ভবন থেকে সাধারণ সম্পাদক আরিফের অন্য একটি গ্রুপ মাথায় হেলমেট পরে রামদা, চাপাতি, স্ট্যাম্প, রড, পাইপ ও হকস্টিক সহ প্রতিপক্ষ গ্রুপের উপর হামলা চালায়।

 

পরে অন্য গ্রুপও প্রতিরোধের চেষ্টা করে। এতে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স পরিস্থিতি শান্ত করেন।

 

ঘটনার বিষয়ে হল শাখা সভাপতি সাকিব হাসান সাংবাদিকদের বলেন, হলের সিট নিয়ে ঝামেলা হয়। সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মীরা রড নিয়ে হেলমেট পরে হামলায় অংশ নেয়। সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন বলেন, হলের একটি সিট নিয়ে সমস্যা হয়। এতে সামান্য ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।

 

এ বিষয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে (শুক্রবার) রাতের মধ্যে ব্যাবস্থা নেয়া হবে। যারা বিশৃঙ্খলা তৈরি করে, তাদের কোনো ছাড় নেই। সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন বলেন, ঘটনায় জড়িতরা ছাড় পাবে না।

 

ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান বলেন, (শুক্রবার) রাতে তাদের ডাকা হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।